বাগেরহাটে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে। দিন-রাতে তিন থেকে চার বার লোডশেডিং করা হচ্ছে শহরে। আর গ্রাম অঞ্চলে লোডশেডিংয়ের মাত্রা আরও বেশি। লোডশেডিংয়ের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং বাসা-বাড়িতে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ব্যাহত হচ্ছে। ক্ষতির মুখে রয়েছে ব্যবসায়ীরা।
বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রতিদিন চাহিদায় তুলনায় ২৫ মেগাওয়াট এবং ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের চাহিদার তুলনায় আড়াই মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি থাকছে। সবাইকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে।
জানা গেছে, বাগেরহাটের গ্রাম অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবারহ করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। আর বাগেরহাট পৌর এলাকায় বিদ্যুৎ সরবারহের দায়িত্বে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড। সব ধরণের ব্যবসা-বার্ণিজ্য এবং উৎপাদনমুখী কলকারখানায় লোডশেডিংয়ের প্রভাব পড়েছে। লোডশেডিংয়ের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মালটিমিডিয়া ক্লাশ করানো সম্ভব হচ্ছে না। বিদ্যুৎ না থাকায় ঘুরছে না ফ্যান আর জ্বলছে না লাইট।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র জানায়, জাতীয় গ্রিড থেকে বাগেরহাট ১৩২/৩৩ কেবি গ্রিড উপকেন্দ্রে বিদ্যুৎ সরবারহ করা হয়। এই উপকেন্দ্র থেকে বাগেরহাট জেলা এবং পিরোজপুরের সদর, নাজিরপুর ও ইন্দুরকানি উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবারহ করে। বাগেরহাট উপকেন্দ্রের প্রতিদিন পিক আওয়ারে চাহিদা ৯৮ মেগাওয়াট। সেখানে ৩০ থেকে ৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি থাকছে।
বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মুহাম্মদ নুরুল হোসাইন জানান, জেলায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গ্রাহক সংখ্যা তিন লাখ ৪০ হাজার। ৬১টি ফিডারের মাধ্যমে গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সরবারহ করা হয়। প্রতিদিন তাদের চাহিদা রয়েছে ৭০ থেকে ৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। কিন্তু সেখানে তারা পাচ্ছে ৫০ মেগাওয়াট। ২৫ মেগাওয়াট ঘাটতি থাকছে। দিন-রাতে চার বারে চার ঘণ্টা লোডশেডিং করে বিদ্যুতের ঘাটতি মিটানো হচ্ছে। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
পড়ুন: স্কুলশিক্ষকের তৈরি ভাসমান সেতুতে দুর্ভোগের অবসান হলো গ্রামবাসীর